চারিদিকে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। দিনকে দিনে শীতের তীব্রতা বেড়ে চলেছে। আর শীত আসলেই যেন বেড়ে যায় ব্যাচেলর জীবনের যন্ত্রনা। শীতের যত কষ্ট, সবই বুঝি ব্যাচেলর জীবনেই।
তাই তীব্র শীতের এ ঝলকানিতে মুহু মুহু উষ্ণতার পরশের সন্ধ্যানে লক্ষ্য তরুণ হাতড়ে বেড়ায় বিবাহিত জীবনের সামান্য একটু সুখের আশায়, আপাদমস্তক একটা বউয়ের আশায়। কিন্তু ক জনই বা পায় সেই কাঙ্ক্ষিত সুখ? ক জনই বা পায় শীতে বেচে থাকার উষ্ণ অবলম্বন?
সেই অবলম্বনটুকুই শীতের শুরু থেকে বারবার চেয়ে আসছিলো সোনারগাঁয়ের তরুন আজমল আক্কাস। কিন্তু বারবার নিজের মনের অব্যক্ত কথাগুলো, কাঙ্খিত চাওয়াগুলো নিজের মানুষগুলোকে বলতে ব্যর্থ হয়ে যেন ঘেন্না ধরে গেছে নিজের প্রতি।
আর সেই ঘেন্নাপিত্তির প্রতিফলন ঘটিয়েছে আজমল আক্কাস তার ঘরের খাটের উপর।
সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে খাটের এক পাশ পরে থাকে শূন্যতায়, যে খাটের এক পাশ হতে পারতো কারো আশ্রয়ের শেষ ঠিকানা, অথচ সেখানটা শূণ্য মরুভূমির মতো খা খা করে রাতদিন।
কাথা কম্বলে যে শীত মানে না, সেই শীত হার মানতো যে উষ্ণতার পরশে, সে উষ্ণতার পরশই যখন অনিশ্চিত, তখন কি হবে এত বড় এই খাটের বাকি অংশ দিয়ে।
শুধু শুধু হৃদয়ের কান্নার জল গড়িয়ে পড়বে তাকালেই।
বুকটা হাহাকার করে উঠবে কারো নৈশব্দের কারণে।
এরচেয়ে বরং ভালো, সব লেটা একেবারেই চুকে যাক।
সাতপাঁচ ভেবেই ধারালো কুড়ালের অনবরত আঘাতে কেটে ফেলা হলো আজমল আক্কাসের খাটটি।
আর পরিশেষে পড়ে রইলো একহ্রাস না পাওয়ার বেদনা, যে বেদনা এই হার কাপানো কনকনে শীতে সারাক্ষণই তারা করে বেড়াবে আজমল আক্কাস কে।
Comments
Post a Comment