Skip to main content

রাজনৈতিক অভিনয়ে মোরা সকলেই প্রচন্ডরকম অভিনেতা - তারেক মাহমুদ



রাজনৈতিক অভিনয়। 

আমরা সবাই সেই অভিনয় বুঝি, এরপরও হাত তালি দেই,  মিথ্যে মিথ্যে বাস্তবতার বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করি। 

মিথ্যে মিথ্যে লক্ষ-কোটি টাকাও নষ্ট করি। 


ভোটের সময় প্রার্থীরা মাঠে ময়দানে, এমনকি বাড়ি বাড়ি এসেও কত রকম প্রতিশ্রুতির কাথা সেলাই করে।  

আমরা সবাই ই জানি এগুলো ১০০% সবই মিথ্যা মিথ্যা আশ্বাস। এরপরও আমরা তাদের সাথে হেসে হেসে জ্বী আপনাকেই ভোট দেবো, আপনার সাথে আছি, বলি।  

যে প্রার্থীই আসুক,  সবাইকেই সাপোর্ট দেই।  অথচ আমরাও জানি যে,  আমরা মিথ্যে বলছি,  অভিনয় করছি।  


আমার একটা ভোট একজনের বেশী কাউকে দিতে পারবো না জেনেও সব প্রার্থীকেই হ্যান্ডশেকের বিপরীতে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।  আমিও অভিনয়ই করছি। 


আবার,  জোর জবরদস্তি করে হলেও নিশ্চিত আমি ১০০% পাস জেনেও পাবলিকের কাছে গিয়ে ভোট চাচ্ছি, এটা ওটা খাওয়াচ্ছি, মিটিং মিছিল করছি অনেক খরচ করে,  অথচ এসব না করলেও আমিই পাস।  এটাও করছি একটা অভিনয়। 


আবার ভোটের সাথে দোয়ার একটা সম্পর্ক বানিয়ে ফেলেছি আমরা। ভোট চাই ভোটারের,  দোয়া চাই সকলের।


এভাবে হেভি প্রচার প্রচারণা করে ভোটে না দাঁড়িয়ে  দোয়া চায় না কেউই। 

আজ অবধি কাউকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছাড়া পোস্টার -ব্যানার/মাইকিং করে দোয়া চাইতে দেখা যায় নি এ দেশে। 

দোয়া চাওয়াটাও যে একটা অভিনয়, সেটা আমরা সবাই ই বুঝি। 

এরপরও আমরা হাত তালি দেই,  জেনেশুনে তাদের গুয়ে পা দেই।  


গুয়ের সাগরের বুকে জেগে উঠা এক দ্বীপের চারিদিকেই যখন গু,  তখন গুয়ের উপর সাতার কাটা ছাড়া কোনো উপায় আছে? 


গু শুকিয়ে সেটার উপর স্বর্ণের প্রলেপ দিলেই যেমন সেটা শুদ্ধ হয়ে যায় না,  

তেমনি আমাদের অভিনয়ের উপর বিশ্বাসের প্রলেপ দিলেই সেটাকে ইমানদারী বলা যাবে না।

Comments

Popular posts from this blog

শীতে বউয়ের অভাবে খাট কেটে দু ভাগ করে ফেললো সোনারগাঁয়ের তরুণ

চারিদিকে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে।  দিনকে দিনে শীতের তীব্রতা বেড়ে চলেছে।  আর শীত আসলেই যেন বেড়ে যায় ব্যাচেলর জীবনের যন্ত্রনা।  শীতের যত কষ্ট,  সবই বুঝি ব্যাচেলর জীবনেই।   তাই তীব্র শীতের এ ঝলকানিতে মুহু মুহু উষ্ণতার পরশের সন্ধ্যানে লক্ষ্য তরুণ হাতড়ে বেড়ায় বিবাহিত জীবনের সামান্য একটু সুখের আশায়, আপাদমস্তক একটা বউয়ের আশায়।  কিন্তু ক জনই বা পায় সেই কাঙ্ক্ষিত সুখ?  ক জনই বা পায় শীতে বেচে থাকার উষ্ণ অবলম্বন?   সেই অবলম্বনটুকুই শীতের শুরু থেকে বারবার চেয়ে আসছিলো সোনারগাঁয়ের তরুন আজমল আক্কাস।  কিন্তু বারবার নিজের মনের অব্যক্ত কথাগুলো,  কাঙ্খিত চাওয়াগুলো নিজের মানুষগুলোকে  বলতে ব্যর্থ হয়ে যেন ঘেন্না ধরে গেছে নিজের প্রতি।  আর সেই ঘেন্নাপিত্তির প্রতিফলন ঘটিয়েছে আজমল আক্কাস তার ঘরের খাটের উপর।   সিদ্ধান্ত নিয়েছে,  যে খাটের এক পাশ পরে থাকে শূন্যতায়,  যে খাটের এক পাশ হতে পারতো কারো আশ্রয়ের শেষ ঠিকানা,  অথচ সেখানটা শূণ্য মরুভূমির মতো খা খা করে রাতদিন।   কাথা কম্বলে যে শীত মানে না,  সেই শীত হার ম...

মেহগনির সেই ডালটিতে আর ইষ্টিকুটুম আসে না -তারেক মাহমুদ

  তোমার সাথে কাটানো মুহুর্তগুলো রাতের গভীরতার সাথে পাল্লা দিয়ে হৃদয়ের নিষিদ্ধপল্লিতে এসে জড়ো হয়। আমাদের প্রথম দেখা হওয়ার ঘটনা মনে আছে তোমার? আগের দিন সন্ধ্যায় হঠাৎ আবদার করে বসলে,  আমাকে নীল শার্ট পড়ে আসতে হবে।  তোমার পছন্দের রঙের শার্ট খুজতে, এ মার্কেট থেকে ও মার্কেট,  সে কি দৌড় আমার!   যাও পেলাম,  তাও আকাশী রঙ..  আকাশী নাকি তোমার একদম অপছন্দের।   গাঢ় নীল চেয়েছিলে তুমি।   ভেস্তে গিয়েছিলো সেদিনের প্ল্যান।  গাঢ় নীল শার্ট না পাওয়ায় পরদিন আর আমাদের দেখা হলো না । এরপর সারাদিন খুজে একেবারে গাঢ় নীল রঙা একটা শার্ট পেলাম।   পরদিন দেখা হলো তোমার আমার।   ছায়াঘেরা বেঞ্চির দুই কোণে বসা তুমি আর আমি।   আমাদের ৪ ফিট দুরত্বের মাঝখানে রাখা তোমার কালো রঙের ভ্যানিটিব্যাগ।  সেদিন নিজের হার্টবিটের প্রত্যেকটা শব্দের সংকেত কান অব্দি টের পেয়েছি।   তুমি যখন আমার দিকে তাকিয়ে,  আমি তখন মেহগনির ডালে বসা ইষ্টিকুটুমের খুনসুটি দেখার ভান করছি।   তুমি যখন আমার চোখ থেকে দৃষ্টি সড়িয়ে নিচ্ছিলে,...